কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব ও আধুনিক সমাজে এর বাস্তবায়ন ভূমিকা

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন এক সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে ইসলামী দলগুলো। সাম্প্রতিক এক রাজনৈতিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, “আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ, আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ।”
বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী নির্বাচনে দেশের সকল ইসলামী দল ও গণতন্ত্রকামী শক্তি একত্রিত হয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী তাদের রাজনৈতিক অবস্থান নতুনভাবে দৃঢ় করছে।
এদিকে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দলটি মনে করছে—যদি জামায়াত ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছে যায়, তবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনাও জেগে উঠতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধারণা থেকেই রাজনৈতিক কৌশলে নানা হিসাব-নিকাশ চলছে।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, যে আওয়ামী লীগ অতীতে আল্লামা সাঈদীকে ৪৮ দিন রিমান্ডে রেখেও তার অবস্থান থেকে সরাতে পারেনি, যে আওয়ামী লীগ আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার আগে জামায়াত নেতাদের বিভিন্ন প্রস্তাব পাঠিয়েছিল— সেই দলটির সঙ্গে জামায়াত কখনোই আপস করবে না। বক্তাদের দাবি, “যে সংগঠন ফাঁসির মঞ্চে হাসিমুখে শহীদ হয়েছে, তারা কখনও তাদের বিরোধীদের সাথে হাত মিলাবে না।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জামায়াত এখন বিএনপিকে সতর্ক বার্তা দিচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপসের পথ তারাই নেবে না—বরং এমন কোনো জোট গঠনের চেষ্টা বিএনপির দিক থেকেই আসতে পারে।
এছাড়া বক্তব্যে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের মানুষ আজন্ম ভারতের বিরুদ্ধে এবং সেকুলারিজমের বিরোধী। আর ভারতের বিরোধিতার কারণেই জনগণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে।”
অন্যদিকে ডাকসু, জাকসু, চাকসু ও রাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর নতুন রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইসলামী দলগুলোর দাবি, ছাত্রসংসদ নির্বাচনের ফল জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে।