Dawatul Islam | গাজায় যুদ্ধবিরতির পর শান্তি রক্ষায় তুরস্কের সেনা অংশ নিচ্ছে

বুধবার, ২৯, অক্টোবর, ২০২৫ , ১৪ কার্তিক ১৪৩২

গাজায় যুদ্ধবিরতির পর শান্তি রক্ষায় তুরস্কের সেনা অংশ নিচ্ছে
১৬ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৪৫ মিনিট

দীর্ঘ দুই বছরের ভয়াবহ যুদ্ধের পর গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতির পর সেখানে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনতে যে আন্তর্জাতিক টাস্ক ফোর্স গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তাতে তুরস্কের সেনাবাহিনী অংশ নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি


🇹🇷 তুরস্কের শান্তি মিশন

আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর গাজায় শান্তি বজায় রাখার জন্য একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।

তুরস্ক জানিয়েছে, তারা এই মিশনে অংশ নেবে এবং একে তারা “ফিলিস্তিনের আহত ভূমিতে শান্তি ফিরিয়ে আনার ধর্মীয় ও মানবিক দায়িত্ব” হিসেবে দেখছে।

এই বিষয়ে আলোচনার জন্য তুরস্ক মিশরের শার্ম এল শেইখে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। এর আগের দিনই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান গাজায় সেনা পাঠানোর বিষয়ে সবুজ সংকেত দেন।


🇺🇸 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ

অন্যদিকে, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (CENTCOM) গাজায় সিভিল-মিলিটারি কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (CMCC) গঠন করছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি

এই কেন্দ্রের মূল দায়িত্ব হবে —

  • মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা,

  • নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়া, এবং

  • আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন।

ওয়াশিংটন গাজায় প্রায় ২০০ মার্কিন সেনা পাঠাবে, তবে তাদের ভূমিকা সীমিত থাকবে। তারা উগ্রপন্থীদের শান্ত রাখার কাজ করবেন, কিন্তু গাজার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপ করবেন না


🕊️ যুদ্ধবিরতি ও বর্তমান পরিস্থিতি

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পরপরই ইসরাইলি সেনারা গাজার ইয়োলো জোন থেকে সরে গেছে। এই চুক্তির ফলে শিগগিরই বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

ধোঁয়া, ধ্বংস আর দগ্ধ মাটির গন্ধে ঢেকে থাকা গাজার ধ্বংসস্তূপে যারা এখনও বেঁচে আছেন, তাদের চোখে এখন একটিমাত্র প্রশ্ন—
👉 “এবার কি সত্যিই শেষ হলো রক্তপাত?”

দুই বছর ধরে আগুন, মৃত্যু আর ধ্বংসযজ্ঞ দেখার পর এই যুদ্ধবিরতি গাজার মানুষকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ এনে দিয়েছে।


⚔️ নতুন উত্তেজনা: ‘দগমোশ’ গোষ্ঠীর উত্থান

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে ‘দগমোশ’ নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীটি উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে

ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর গাজা সিটিতে হামাস ও দগমোশ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে দগমোশের ৩২ সদস্য রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা ৭ জন মানুষকে সড়কে গুলি করে হত্যা করছে। স্থানীয় কিছু ফিলিস্তিনি নিহতদের ইসরাইলি বাহিনীর সহযোগী বলে দাবি করেন এবং হামাসকে সমর্থন জানান।

নিহত ব্যক্তিরা দগমোশ গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।


🚨 হামাসের নতুন ভূমিকা

যুদ্ধবিরতির পর হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেড এখন অস্থায়ী পুলিশের দায়িত্ব পালন করছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জানিয়েছেন, গাজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সাময়িকভাবে হামাসকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে


📚 সূত্র: এএফপি, আনাদোলু

সব সংবাদ