কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব ও আধুনিক সমাজে এর বাস্তবায়ন ভূমিকা

মালদ্বীপকে পবিত্র কোরআন চর্চা ও প্রচারের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চান দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু।
তিনি বলেন, “ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে মালদ্বীপে পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত ও এর প্রচার-প্রসারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।” এ বিষয়ে উন্নতির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে ইসলামিক সেন্টারের কনফারেন্স হলে আয়োজিত ৩৭তম জাতীয় কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট আরও জানান, তরুণ প্রজন্মকে কোরআনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে এই প্রতিযোগিতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী বছরগুলোতে দেশের সব অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা আন্তরিকতা ও উৎকর্ষের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে এবং বিভিন্ন পুরস্কারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
তিনি বলেন, “মালদ্বীপের শিশু-কিশোররা যেন কোরআন তিলাওয়াতকে গৌরবের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে এবং এর প্রতি গভীর অনুরাগ গড়ে তোলে—এটাই আমার আন্তরিক প্রত্যাশা।” এ লক্ষ্য অর্জনে সমাজের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
কোরআন তিলাওয়াত, মুখস্থ করা, জ্ঞান প্রচার ও কোরআনের সেবায় প্রেসিডেন্টের বিশেষ গুরুত্বের প্রতিফলন ঘটেছে এবারের জাতীয় কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায়। গত মাসে নেওয়া তাঁর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিযোগিতার সার্বিক প্রথমস্থান অধিকারীর জন্য বিশেষ পুরস্কার চালু করা হয়েছে এবং অন্যান্য পুরস্কারের মানও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এর ফলে প্রতিযোগিতাটি এখন মালদ্বীপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ইসলামিক অনুষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।
৩৭তম জাতীয় কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার তিলাওয়াত পর্ব শুরু হয় ১৮ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনের পর, এবং ১৯ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিং সালমান মসজিদের দুই তলায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১১৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১,০২৩ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল দ্বীপ ও সিটি কাউন্সিল, বিদ্যালয়, ক্লাব, সংগঠন, কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট লেডি সাজিদা মোহাম্মদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট উজ. হুসাইন মোহাম্মদ লাতিফ এবং মন্ত্রীসভার সদস্যরা। তাঁরা প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জনকারীদের হাতে পুরস্কার, সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন।