ডিজিটাল যুগে মুসলমানের দায়িত্ব ও করণীয়: এক বিস্তৃত আর্টিকেল
ওয়াজ মাহফিলের রকস্টার হুজুর!
এক সময় ওয়াজ মানেই ছিল চোখে জল আনা তিলাওয়াত, হৃদয় কাঁপানো হাদিস আর গলার কাঁপুনি তুলে দেওয়া উপদেশ। এখন? এখন ওয়াজ মানেই—“জলসায় ঢুকে বুঝবা ভাই, হুজুর গান গাইলে কেমন লাগে!”
মাহফিলের মাইকে ভেসে আসে,
🎶 “ভালোবাসা সাজিয়ে রাখবো আল্লাহর দরবারে…”
– আর হুজুর বলেন, “এ গানটা আগে রোমান্টিক ছিল, এখন আমি একে বানাইছি কোরআনিক!”
ভাইরে ভাই!
মাহফিলে এখন ফুঁ দিলে জিকির হয় না, হয় বিটবক্স। আর মাইকের শব্দে পাশের গ্রামে লোকজন ভাবে—“বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান বুঝি?”
হুজুর বলছেন,
“স্মৃতি চোখে জল আনে…”
তারপর থেমে হঠাৎ বললেন,
“ভাইরা, এ স্মৃতি যদি হয় গোনাহর, তয় চোখের পানি দিয়েন তাওবার। না হয় কইরা নিন রিকুয়েস্ট—জান্নাতের সিডি।”
আর জনতা? তারা এমন তন্ময় হয়ে শোনে, মনে হয় হুজুর না—স্টার জলসার হিরো।
ওয়াজের নতুন ফরমুলা:
🔸 শুরুতে হুজুর গান গাইবেন—
🎤 “তুই আমার জানের জান, আল্লাহর মানে মান।”
🔸 মাঝখানে করবেন কয়েকটা ভঙ্গিমা: চোখে চশমা তুলে, হাত নাড়িয়ে বলবেন—
“ভাইরা! কেয়ামত আসতেছে না, কেয়ামত নাচতেছে!”
🔸 শেষে বলবেন:
“যদি কেউ পাঁচ টাকা দেয়, আমি তার নামে গাই—
🎶 ‘তুমি আল্লাহ দিলে সবই হয় ভাই!’”
শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া?
শ্রোতারা কেউ কেউ বলেন, “হুজুরের কণ্ঠে মেলোডি আছে, একটু আরমান মালিক টাইপ।”
আরেকজন বলে, “হুজুর তো লাইভ কনসার্টে ওয়াজ করে, ইউটিউবের জন্য ঠিক আছে!”
কেউ পেছন থেকে ফিসফিস করে, “ওয়াজের বদলে কমেডি নাইট হইতো ভালো হইত।”
ধর্ম গেল কোথায়?
আসলে ধর্ম গেল হুজুরের গলায়, যেখানে ফিকাহর জায়গায় গাওয়া হয় ফোক গান।
যেখানে হাদিসের ব্যাখ্যার বদলে পাওয়া যায় “তুমি বিনা গোরে শান্তি নাই” টাইপ বয়ান।
আর ওয়াজ মাহফিল হয়ে ওঠে এক প্রকার মিউজিক্যাল কমেডি শো—রেফারেন্স সহ।
শেষ কথা:
আমরা গান শুনি, ওয়াজ শুনি, মজা পেতে চাই—এটা ঠিক। কিন্তু ধর্মের নামে যদি সার্কাস হয়, তবে ভবিষ্যতে কেউ ওয়াজ শুনতে আসবে না, বরং “টিকটক ওয়াজার” হয়ে উঠবে সমাজের গুরু।
তাই হুজুরদের প্রতি আহ্বান: ওয়াজে ওয়াজ থাকুক, গান না। সেলাই না হোক কমেডি।