ডিজিটাল যুগে মুসলমানের দায়িত্ব ও করণীয়: এক বিস্তৃত আর্টিকেল
আল্লাহ তা’আলা মানুষ সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। তিনি বিভিন্ন আমল ও দোয়া বলে দিয়েছেন। আর দিনের শুরুতে মহান আল্লাহর জিকিরে রিজিকে বরকত হয়।
কুরআন মাজিদের সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত যাকে আয়াতুল কুরসি বলা হয়। যে ব্যক্তি সকালে তা বলবে সে বিকেল হওয়া পর্যন্ত জিন ও শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে। আর যে ব্যক্তি বিকেলে তা বলবে সে সকাল হওয়া পর্যন্ত জিন ও শয়তান থেকে মহান আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সকাল ও বিকেলে ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ (সুরা ইখলাস), ‘সুরা ফালাক’ ও ‘সুরা নাস’ তিনবার করে বলবে, এটাই তার সবকিছুর জন্য যথেষ্ট হবে। (তিরমিজি: ৩/১৮২)
أَسْتَغْفِرُاللَّهَوَأَتُوبُإِلَيْهِ (উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি।)
অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তার কাছেই তওবা করছি। (প্রতি দিন ১০০ বার) (বুখারি: ৬৩০৭; মুসলিম: ২৭০২)
اللَّهُمَّإِنِّيأَسْأَلُكَعِلْماًنافِعاً،وَرِزْقاًطَيِّباً،وَعَمَلاًمُتَقَبَّلاً (উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নি আস্আলুকা ‘ইলমান না-ফি‘আন্ ওয়া রিয্কান ত্বায়্যিবান ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান। )
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি। এটি ফজর নামাজের সালাম ফিরানোর পর পড়বে। (ইবন মাজাহ ৯২৫)
لاَإِلَهَإِلاَّاللَّهُوَحْدَهُلاَشَرِيكَلَهُ،لَهُالْمُلْكُوَلَهُالْحَمْدُيُحْيِيوَيُمِيتُوَهُوَعَلَىكُلِّشَيْءٍقَدِير (উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ইয়ুহ্য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদির)
অর্থ: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। ১০ বার করে পড়বে। (তিরমিজি ৩৪৭৪)